সুনামগঞ্জ , মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫ , ১১ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
‘খুন’ হচ্ছে হাওরের নদ-নদী-খাল শান্তিগঞ্জে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষে আহত ৩০ আজ সেই ভয়াল ২৫ মার্চ সেনাবাহিনী রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করবে না, প্রত্যাশা সারজিসের সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করার হীন প্রচেষ্টা শুরু হয়েছে : মির্জা ফখরুল মোল্লাপাড়া ইউনিয়নে রাস্তা নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ পণাতীর্থে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশের বিশেষ প্রস্তুতি সংস্কার সংস্কার না করে দ্রুত নির্বাচন দিন : কয়ছর এম আহমদ হাসনাতের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে ক্যান্টনমেন্ট প্রসঙ্গে যা বললেন সারজিস হাসনাতের বক্তব্য ‘অত্যন্ত হাস্যকর ও অপরিপক্ব গল্পের সম্ভার’ কৃষকদল নেতা আনিসুল হকের উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল রাষ্ট্রের নাম পরিবর্তন নয়, ৭১ ও ২৪ এক কাতারে রাখায় দ্বিমত বিএনপি’র নাটক ‘বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ’ মঞ্চস্থ মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্পের জনবল রাজস্বকরণের দাবিতে মানববন্ধন হোটেল শ্রমিকদের বিক্ষোভ : ঈদের আগে বেতন-বোনাসের দাবি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সিলেট জেলার আহ্বায়কের জামিন বরাদ্দ বাড়িয়ে অর্থ তছরুপের উদ্যোগ ৭ মাসে নিহত ১১৯, ৬ মাসে পুলিশের ওপর হামলা ২২৫ শান্তিগঞ্জে হাওরের বুকে রাস্তা চান কৃষকেরা ভোগান্তিতে ১০ গ্রামের মানুষ
বিশ্বম্ভরপুরে ফসলরক্ষা বাঁধের ৫ প্রকল্প

বরাদ্দ বাড়িয়ে অর্থ তছরুপের উদ্যোগ

  • আপলোড সময় : ২৩-০৩-২০২৫ ০১:২০:২৯ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২৩-০৩-২০২৫ ০১:২৫:১৩ পূর্বাহ্ন
বরাদ্দ বাড়িয়ে অর্থ তছরুপের উদ্যোগ
বিশেষ প্রতিনিধি ::
বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার আঙ্গারুলি শনার হাওর, হালির হাওর শনির হাওরে প্রকল্প দেবার পর রাতারাতি আরো বরাদ্দ বাড়িয়ে দিয়েছেন বাঁধ সংক্রান্ত কমিটির সভাপতি সদস্যসচিবসরকারি অর্থ লোপাট করতে দায়িত্বশীলরা এই কাজ করেছেন এমন অভিযোগ উঠেছে
অভিযোগ উঠেছে কাগজে কলমে এসও’র (সাব স্টেশন অফিসার) দায়িত্বে গোলাম কিবরিয়া থাকলেও এই অফিসের কার্যসহকারী আল আমিনই সব দুর্নীতির হোতা। সে-ই উপজেলা কমিটির সভাপতির সঙ্গে মিশে এবার প্রকল্প অনুমোদন, বাস্তবায়নসহ বরাদ্দ বিতরণে কাজ করেছে। এদিকে মাঝপথে বরাদ্দ বাড়িয়ে একটি জলাশয় ভরাট করার ঘটনায় কৃষক ও মৎস্যজীবীদের বাধার মুখে একটি প্রকল্পের কাজ চলমান থাকা অবস্থায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি মওসুমে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধে প্রায় ৪ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। গ্রহণ করা হয়েছে ২৫টি (পিআইসি) প্রকল্প। সার্ভেয়ারের প্রিওয়ার্কে সর্বমোট বরাদ্দ উল্লেখ করে প্রকল্প গ্রহণ করার পরও এই প্রকল্পগুলোর মধ্যে ৪, ১০, ১৭, ২২ নম্বরসহ ৪টি প্রকল্পে কাজ শুরুর পর আবারও বরাদ্দ বাড়িয়ে নেওয়া হয়। কাজের শেষ দিকে এসে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পানি উন্নয়ন বোর্ডের কার্যসহকারী আল আমিনের প্ররোচনায় কোনও কারণ ছাড়াই প্রকল্পগুলোতে প্রায় ৫ লক্ষ টাকা করে বাড়ানো হয়েছে বলে কমিটির সদস্যরা অভিযোগ করেছেন। কিছু ব্যক্তির সুপারিশসহ প্রকল্পের সুবিধাভোগী কিছু প্রভাবশালীদের সুপারিশও আদায় করে নেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ জানিয়েছেন, তাদের সঙ্গে প্রতারণা করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাদ্দ বাড়িয়ে নিয়ে তাদের স্বাক্ষর আদায় করেছেন। যে কাজের কথা বলে স্বাক্ষর নেওয়া হয়েছে তারা পরবর্তীতে সরেজমিন ঘুরে দেখেছেন কোথাও কাজ হয়নি। কার্পেট, বস্তা, বাঁশ দেওয়া হয়নি। মূলত পাউবো’র কার্যসহকারী আল আমিনের প্ররোচনাতেই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এমন কাজ করেছেন বলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি ও উপজেলা বাঁধ সংক্রান্ত কমিটির সদস্যরা জানিয়েছেন।
এদিকে বরাদ্দ বাড়ালেও পিআইসি এ বিষয়ে অবগত নয়। বর্ধিত বরাদ্দের বিষয়টি সাইনবোর্ডেও উল্লেখ নেই। মূলত এই অতিরিক্ত বরাদ্দ লোপাট করতেই শেষদিকে এমন দুর্নীতির আয়োজন করা হয় বলে কৃষকদের অভিযোগ।
জানা গেছে, আঙ্গারুলি-শনার হাওরে পিআইসির কাজ শুরুর পর শেষ দিকে আরো প্রায় ৫ লাখ টাকা বরাদ্দ বাড়ানো হয়। এই বরাদ্দ জায়েজ করতে সরকারি মালিকানাধীন ইজারাপ্রাপ্ত জলমহাল ভরাটের উদ্যোগ নেন তারা। এই খবর পেয়ে বৈধ মৎস্যজীবী সমিতি জলমহাল ভরাট না করতে সংশ্লিষ্টদের আবেদন করেন। তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে মাটি ভরাট বন্ধ করা হলেও এই প্রকল্পের অতিরিক্ত বরাদ্দ কোথায় ব্যবহার হবে জানেনা কেউ।

বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা বাঁধ সংক্রান্ত কমিটির ছাত্র প্রতিনিধি জোবায়ের আহমদ বলেন, ইউএনও স্যার একদিন আমাকে জানান, বাঁধের কিছু কাজ বেড়েছে। বরাদ্দ বাড়াতে হবে। আমার স্বাক্ষর লাগবে। কৃষকদের স্বার্থে আমি স্বাক্ষর করেছি। পরে কয়েকটি প্রকল্প ঘুরে দেখেছি যে কাজের কথা বলে তিনি বরাদ্দ বাড়িয়েছেন সেই কাজ হয়নি। বাঁশ, বস্তা, কারপেট দেওয়া হয়নি। কমপেকশন ও দুর্বা লাগানো হয়নি। মূলত তিনি আল-আমিনের কথাতেই বরাদ্দ বাড়িয়ে নিয়েছেন বলে আমরা জানতে পেরেছি।
উপজেলা বাঁধ সংক্রান্ত কমিটির সদস্য সচিব গোলাম কিবরিয়া বলেন, আমি কোনও অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িত নই। যা করা হয়েছে বাঁধের ভালো কাজের স্বার্থেই করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা বাঁধ সংক্রান্ত কমিটির সভাপতি মফিজুর রহমান বরাদ্দ বাড়ানোর বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, বিভিন্ন সুবিধাভোগী ও কমিটির লোকদের সরেজমিন পরামর্শ করেই বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে। এতে কোনও অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়নি। প্রথম প্রিওয়ার্কে সার্ভেয়াররা কেন ইস্টিমেটে বরাদ্দ বাড়ানোর বিষয় উল্লেখ না করলেও তিনি কিভাবে বরাদ্দ বাড়িয়ে নিলেন এ প্রশ্নের জবাব চাইলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে বলেন, সমালোচনার অভিযোগে আল আমিনকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স